কালনা: পূর্ব বর্ধমানের কালনার ২ নম্বর ব্লকের, শাসপুর রামকৃষ্ণপল্লি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল শিক্ষকের অভাবে।
শুক্রবার একমাত্র শিক্ষিকার অবসর গ্রহণের পর শনিবার থেকে স্কুল গেটে তালা ঝুলে যায়। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। সমস্যায় পড়েন মিড ডে মিলের কর্মীরাও। কালনা মহকুমার দু'নম্বর ব্লকের শাসপুর গ্রাম। এই গ্রামে একটি মাত্র শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। বহুদিনের পুরনো এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল একজন। শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত স্কুলে, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ২০ জন। দীর্ঘদিন ধরেই একজন শিক্ষিকাই স্কুলটিকে চালাচ্ছিলেন। শুক্রবার ছিল ওই একমাত্র শিক্ষিকার অবসরের দিন।
শুক্রবার অবসরের পরই শনিবার আর স্কুলের গেট খোলেনি। স্কুল খোলা না পেয়ে ফিরে যায় ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়াও ফিরে যান মিড ডে মিলের রাধুনিরা। একদিকে যেমন সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়েছে, যাঁরা মিডডে মিলের রান্না করেন। সকালে স্কুলে এসে তারা দেখে গেটে তালা ঝুলছে। তবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা জানান, তাঁকে যদি শিক্ষা দপ্তর নির্দেশ দেয় ওই স্কুলটি চালানোর জন্য তিনি শিশুদের জন্য আবার পড়ানো শুরু করবেন।
স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাবে খবর আগে থেকে থাকায়, বেশ কয়েকজন স্কুলের ছাত্রছাত্রী টিসি অর্থাৎ ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়েছে। গ্রামের মানুষ স্কুলটি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে। ওই এলাকায় একটিমাত্র শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। অভিভাবকরা চাইছেন অতিসত্ত্বর শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি দেখুক, স্কুলটি পুনরায় আবার যাতে চালু হয় সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হোক। এরপরে কি আবার দেখা যাবে ওই কচিকাঁচাদের শোরগোল, দেখা যাবে মিড ডে মিল খাওয়ার লাইন, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গ্রামের মানুষ।
উপরের লেখা বিবেচনা করে একটি ছবি তৈরি করা হলো:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন