নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তিন দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আর শনিবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন সুকন্যা, এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি। গরু পাচার মামলায় বহু আগেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। এবার দিল্লিতে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই কী সমস্ত রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে? যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য সাধারণ এক স্কুল শিক্ষিকার কাজ করতেন সুকন্যা। সেই সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচার মামলায় সুকন্যাই প্রধান সুবিধাভোগী বলে ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত। ইডির দাবি, অনুব্রত গরু পাচারের টাকায় নিজের নামের থেকে অনেক বেশি সম্পত্তি কিনেছেন মেয়ে সুকন্যার নামে। আর সেটাই কাল হয়েছে। দেরিতে হলেও গ্রেফতার হয়েছেন সুকন্যা। আর মেয়ে গ্রেফতার হয়ে ইডি হেফাজতে রয়েছেন, এই দৃশ্যও দেখতে হচ্ছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা বারবার অনুব্রতকে বীরভূমের 'বাঘ' বলেছেন।
তাঁর ভয়ে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। সেই দাপুটে নেতা এখন তিহাড় জেলে বসে ভাত খাচ্ছেন। আর গরু পাচার মামলায় যে অজস্র অভিযোগ রয়েছে অনুব্রতর নামে, তার জেরে এবার কন্যা সুকন্যাকেও গ্রেফতার হতে হল। সিবিআই এবং ইডির দাবি গরু পাচার মামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অনুব্রত, এবং তার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। যদি সেই অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে কী অনুব্রত এবার সমস্ত সত্য ঘটনা সামনে আনবেন মেয়েকে বাঁচাতে? তদন্তে সহযোগিতা করে সমস্ত সত্য কথা বলবেন তদন্তকারীদের? মেয়ের জীবন শেষ হয়ে যাক তা নিশ্চয়ই বাবা হিসেবে চাইবেন না অনুব্রত। এটা সকলেই জানেন যদি সুকন্যা সত্যিই কিছু দোষ করে থাকেন, তাহলে সেটা তিনি অনুব্রতর কথাতেই করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই সুকন্যার গ্রেফতারির কারণ শুধুমাত্র অনুব্রত। এর বাইরে অন্য কিছু নয়। এই পরিস্থিতিতে বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চলেছেন তদন্তকারীরা। আর সেখানেই গরু পাচার মামলার সমস্ত রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন