নয়াদিল্লি: অবস্থানে অনড় নির্বাচন কমিশন। ভোটমুখী বিহারে স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) বা ভোটার তালিকা শুদ্ধকরণের যে কাজ চলছে, তার পক্ষেই জোরালো সওয়াল করল। সুপ্রিম কোর্টে এই ইস্যুতে হলফনামা পেশ করে কমিশন বলেছে, ভোটার তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’দের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনের ‘শুদ্ধতা’ বাড়াবে এসআইআর প্রক্রিয়া। সেইসঙ্গেই ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের যোগ্যতা প্রমাণের স্বতন্ত্র নথি হিসেবে কেন আধার, ভোটার বা রেশন কার্ড গ্রহণ করা সম্ভব নয়, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে কমিশন। বলেছে, এই তিন নথি শুধুমাত্র শনাক্তকরণের জন্য বিবেচিত হয়। এগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।
এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কমিশনের সমীক্ষার কাজে স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে আধার, ভোটার ও রেশন কার্ড এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি কি না, তা কমিশনকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় কমিশন বলেছে, চলতি এসআইআর প্রক্রিয়ায় কেউ ভোটার তালিকায় রেজিস্ট্রেশনের অযোগ্য বিবেচিত হওয়া মানেই তাঁর নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে যাওয়া নয়। তবে ভোটদানের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার কমিশনের রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে, একজন ‘অযোগ্য’ ভোটারের ভোটদানের কোনও অধিকার নেই। যে তিনটি নথির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলিকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধভাবে শনাক্তকরণের প্রয়োজনে কমিশন ব্যবহার করছে।
আধার পরিচয়ের প্রমাণ, কিন্তু ভারতীয় নাগরিকত্ব বা রেসিডেন্সির বৈধ প্রমাণপত্র নয়। একইভাবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় ভোটার কার্ডকেও বৈধ নথি হিসেবে মানতে নারাজ কমিশন। কমিশনের ব্যাখ্যা, বহুক্ষেত্রেই পুরনো বা মেয়াদ উত্তীর্ণ রেকর্ডের ভিত্তিতে ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছিল। সেগুলিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহারের অর্থ এসআইআর প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্যকেই খর্ব করা। একইভাবে রেশন কার্ডকেও প্রমাণ্য নথি হিসেবে গ্রহণে রাজি নয় কমিশন। এক্ষেত্রে ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ডের উল্লেখ করেছে কমিশন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন