
আরামবাগ:
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিম অমরপুর। সেই
জটিলতা কাটাতে রেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হল আন্দোলনকারীদের। বুধবার
গোঘাটের পশ্চিম অমরপুরে নির্মীয়মাণ অংশ পরিদর্শনের পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে
বৈঠক করেন পূর্ব রেলের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ হাজারী ও
মৃনাল সরকার। পরিদর্শনে আরপিএফ কর্মীরাও ছিলেন।
রেল ও আন্দোলনকারীদের
সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি মতো জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য হিউম পাইপগুলি
সরিয়ে নেওয়া হবে। তার সঙ্গে নির্মাণকাজও শুরু হবে। যদিও আপাতত মাটির ফেলার
কাজ স্থগিত রাখা হবে। আগামী কয়েকদিন পর ফের বৈঠক করে আন্দোলনকারীদের দাবি
নিয়ে আলোচনা হবে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সঠিক
জল নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। অবশেষে রেল
আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। তবে আমাদের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এদিন রেলের
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের দাবির কথা তাঁরা ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে কিছুদিন পর ফের আলোচনা হবে।
আপাতত বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতো মাটি ফেলার কাজ বন্ধ থাকছে। তবে নির্মাণ কাজে
ছাড় দেওয়ার হয়েছে।
রেলের এক সহকারী বাস্তুকার বলেন, নকশা অনুযায়ী যেসব
বক্স ব্রিজের কাজ শুরু করা হয়েছিল, তার নির্মাণে হাত দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে
হিউম পাইপগুলিও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভাবাদিঘির পর গোঘাট ২
ব্লকের পশ্চিম অমরপুরে জল নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন
সেখানকার বাসিন্দারা। জল নিকাশির জন্য রেল হিউম পাইপ বসায়। তাতেই আপত্তি
জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন বাসিন্দারা। তারপর থেকে তাঁরা সেখানে অবস্থান
বিক্ষোভ করছিলেন। গত মঙ্গলবার আরপিএফ কর্মীরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
তারপর এদিন রেলের আধিকারিকরা গ্রামে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, রেল তাঁদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেবে। তাঁরা বলছেন, আমরা চাই রেল প্রকল্প হোক। কিন্তু গ্রামকে
প্লাবনের হাত থেকে বাঁচিয়েই তা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন