দুবাই: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ৪ মার্চ ২০২৪। ঠিক ৪৭২ দিন পর বদলা নিল ভারত। এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই ফাইনালে উঠল ভারত। দুবাইয়ের মাঠে শেষ হাসি হাসলেন রোহিত শর্মারা। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জিতলেন তাঁরা। বল হাতে মহম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তী যে কাজ শুরু করেছিলেন তা শেষ করলেন বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ারেরা। আরও এক বার কোহলি দেখালেন, তিনি বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। পাকিস্তানের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস এল কোহলির ব্যাট থেকে। চেজমাস্টারের ভূমিকায় কোহলির উপর যেন সকলে চোখ বন্ধ করে ভরসা করে তা দেখিয়ে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার।
টার্গেট ২৫৭। দুবাইয়ে মো টর্নারে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। শুরুটাও খারাপ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। ৮০ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ৪০ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিদায়। অতএব পাহাড়প্রমাণ চাপ। সেই চাপের মুখে আবারও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে লড়াই শুরু করলেন বিরাট। প্রথমে সঙ্গী শ্রেয়স আইয়ার। শ্রেয়স-কোহলির ৯৬ রানের জুটি ম্যাচে ফেরাল ভারতকে। ৪৬ রানে শ্রেয়স আচমকাই আউট হয়ে গেলেন। তারপর আবার যখন জুটি বাঁধা একান্তই দরকার। এবার অক্ষরকে সঙ্গী করলেন বিরাট। ৪৪ রানের একটা দ্রুতগতির জুটি। এদিকে বিরাটের অর্ধশত রান পেরিয়েছে। অক্ষর আউট হওয়ার পর রাহুলকে নিয়ে ফের জুটি বাঁধেন তিনি। দলের স্কোর ২২৩ রান পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন তিনি। ৫৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে কোহলি যখন ফিরলেন, তখন দলের জয়ে বিশেষ সংশয় ছিল না। বাকি কাজটুকু করে দিলেন কেএল রাহুল এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন