ভুয়ো নথিতে ভারতীয় পাসপোর্ট লালবাজারের জালে আওয়ামি লিগ সদস্য - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ভুয়ো নথিতে ভারতীয় পাসপোর্ট লালবাজারের জালে আওয়ামি লিগ সদস্য



কলকাতা: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনুপ্রবেশ করে ভারতে এসে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে পাসপোর্ট বানানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক আওয়ামি লিগের সদস্যকে। মহম্মদ মিলান নামে হাসিনার দলের ওই নেতা বুবাই দুলে নাম নিয়ে ভারতে থাকছিলেন। দিল্লি থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময়ই তাঁকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার। ট্রানজিট রিমান্ডে বুবাইকে কলকাতায় আনা হয়েছে। বসিরহাটের কে বা কারা ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করেছিল জানার চেষ্টা হচ্ছে।

ভুয়ো নথি দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরনো ১৩০ জন বাংলাদেশি  ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে। ২০২৪-এর আগস্ট ও সেপ্টম্বরে ইস্যু হওয়া পাসপোর্ট প্রাপকদের মধ্যে আওয়ামি লিগের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। আরপিওর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে লালবাজার। এর মধ্যে থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে উঠে আসে ভুয়ো আধার, এপিক, প্যান দিয়ে বেশিরভাগ পাসপোর্টের ঠিকানা বসিরহাট, বনগাঁ কিংবা হাওড়া। পলাতকদের পাসপোর্ট নম্বরসহ যাবতীয় নথি পাঠানো হয় দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে। 

লালবাজার সূত্রের খবর, বুবাই দুলে নামে ইস্যু হওয়া পাসপোর্টধারী ব্যক্তি কয়েকদিন আগে দিল্লি থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এইসময় তাঁকে আটক করে অভিবাসন দপ্তর। তারা বিষয়টি জানায় লালবাজারকে। এরপরই গোয়েন্দারা গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় আনেন। বুবাই তদন্তকারীদের জানান, হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগ সদস্যদের উপর আক্রমণ শুরু হয়। তখন প্রাণ বাঁচাতে দালাল ধরে সীমান্ত পেরিয়ে বসিরহাটে আসেন তিনি। সেখানকার এক দালাল তাঁকে  বারাসতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাসের কাছে নিয়ে যান। বসিরহাটের ঠিকানা দেখিয়ে তাঁকে ভুয়ো ভোটার, আধারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করে দেয় সমরেশ। বারাসতের ওই বাসিন্দা নথি নিয়ে এসেছিল হরিদেবপুরের মনোজ গুপ্তার কাছ থেকে। বসিরহাট ডাকঘরের পিএসপিও থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়। আরপিও দপ্তরের ভেরিফিকেশন ও গ্রান্টিং অফিসারকে ম্যানেজ করে পাসপোর্ট ইস্যু করিয়ে নেয় দালালরা। পাসপোর্ট তৈরির পর তিনি দিল্লি যান। সেখানে ব্যবসা করছিলেন। জাল পাসপোর্ট নিয়ে থাইল্যান্ডে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়িক কাজেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...