কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্চম পে কমিশনের আওতায় বকেয়া ডেএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর তোড়জোড় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছল বলেই সূত্রের খবর। কারণ, এর জন্য বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পথে হাঁটছে রাজ্য। কত পরিমাণ ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তা এখনও পরিষ্কার না হলেও, রাজ্য ডিএ দিতেই ‘মার্কেট বরোয়িংয়ের’ পথে হাঁটছে বলে নবান্নের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা অনেকটাই কাটল বলেই মত সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশের।
অন্যদিকে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের পে কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই রিপোর্ট এবং সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ষষ্ঠ পে কমিশন নিয়ে মামলাকারী সরকারি কর্মী দেবপ্রসাদ হালদারের অভিযোগ ছিল, ডিএ মামলায় রাজ্য দাবি করছে, ষষ্ঠ পে কমিশন তারা মেনে চলছে। অথচ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘কবে রিপোর্ট পাবলিক ডোমেনে আনা হবে?’ কিন্তু এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর রাজ্য দিতে পারেনি। এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘পে কমিশনের সুপারিশ সরকারের কোনও গোপন নথি নয়। তাহলে কীসের এত গোপনীয়তা? এটা সমস্ত সরকারি কর্মচারীর জন্য।’
রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এই রিপোর্ট কেন নিজেদের কাছে রেখেছেন। এত পাতার রিপোর্ট বানিয়েছেন, সেটা প্রকাশ না করলে কীসের যৌক্তিকতা?’ এরপরই রাজ্যের পে কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই রিপোর্ট এবং সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন