কলকাতা: আগামী পাঁচদিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও কিছু অংশে বর্ষা প্রবেশ করবে। শুক্রবার জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশ এর মধ্যে থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন। ২৯ মে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে (দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পর্যন্ত) বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তারপর থেকে গোটা দেশেই বর্ষার অগ্রগতি থমকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবারের মধ্যে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এবং ওড়িশার কিছু অংশে মৌসুমি বায়ু ঢুকে যাবে। তার তিনদিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে বর্ষাকাল শুরু হবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে বর্ষাকাল শুরু হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও রাজ্যের উপকূলবর্তী ও তার কাছাকাছি এলাকায় বর্ষার প্রবেশ হবে পারে। মৌসুমি অক্ষরেখার একটা প্রান্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে কিছুটা দূরে স্যান্ডহেডে বঙ্গোপসাগরের উপর ২৯ মে থেকে অবস্থান করছে। উপকূল এলাকা দিয়ে অক্ষরেখার একটা অংশ দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে।
প্রাক বর্ষা পরিস্থিতিতে রাজ্যে বৃষ্টি বাড়বে। আজ, শনিবার উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। রবিবারও উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করলেও সেদিন কমলা সতর্কতা থাকছে না। হলুদ সতর্কতা থাকছে। অতিবৃষ্টির জন্য পাহাড়ি এলাকায় ধস, উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি, নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়া, মাঠে থাকা শস্য এবং সব্জির ক্ষতির আশঙ্কা আছে। রবিবারের পর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমবে। সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার কিছু জায়গায় বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন