সারাদিনে দাঁড়ায় মাত্র দু’জোড়া ট্রেন, ক্ষুব্ধ গলসির ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশনের যাত্রীরা - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

সারাদিনে দাঁড়ায় মাত্র দু’জোড়া ট্রেন, ক্ষুব্ধ গলসির ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশনের যাত্রীরা


সারাদিনে দাঁড়ায় মাত্র দু’জোড়া ট্রেন, ক্ষুব্ধ গলসির ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশনের যাত্রীরা

মানকর: বর্ধমান-আসানসোল শাখার ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশনে সারাদিনে মাত্র দু’জোড়া ট্রেন দাঁড়ায়। ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন গলসির ঈশানচণ্ডী স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বহুবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আরও কয়েকটি লোকাল ট্রেন থামার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ৩১জুলাই ঈশানচণ্ডীতলায় হল্ট স্টেশনের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের আগে থেকেই সকাল-বিকেলে আপ ও ডাউনে দু’জোড়া করে ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু, তারপর যাত্রী বাড়লেও ছবিটা বদলায়নি। অনেকেই তখন ভেবেছিলেন আরও কয়েকটি লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে। কিন্তু, আজও দু’জোড়া ট্রেনই থামছে স্টেশনে। অথচ এই স্টেশনের উপর খানো, পিলগ্রাম, জয়কৃষ্ণপুর, তারানগর, উড়া, বড়সোনা, ছোটমুড়িয়া, ডালিমগড়িয়া, ভূড়ি সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা নির্ভর করেন। সব লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দিলে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে এবং তাতে রেলের আয় হবে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইসমাইল, সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, সকালে ও বিকেলে আসানসোলগামী দু’টি ও বর্ধমানগামী দু’টি লোকাল থামে। ফলে ট্রেনে দুর্গাপুর বা বর্ধমান যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমাদের স্টেশনে ট্রেন থামে না বলে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে খানা জংশন স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। সেচখালের বাঁধের উপর সাইকেল নিয়ে বা হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। তাঁরা জানান, বর্ধমান বা দুর্গাপুর যেতে হলে বেশি টাকা খরচ করে বাসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এলাকার অনেকেই বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। অনেকে দুর্গাপুর, আসানসোলে নিয়মিত কাজ করতে যান। কিন্তু সব ট্রেন না থামায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পড়ুয়া, ছানার ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ যাত্রী সকলেই সমস্যায় পড়ছেন। গলসি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হেমন্ত পাল বলেন, সব ট্রেন না দাঁড়ানোয় এলাকার বাসিন্দাদের খুবই অসুবিধা হয়। প্রশাসনিকভাবে একাধিকবার রেলকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আসানসোল ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার বিষয়টি ডিভিশন থেকে ঠিক করা হয় না। বিষয়টি রেলবোর্ড দেখে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...