
নয়াদিল্লি: এক
সংস্থা ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পিএফ
অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের ঝক্কি কমাচ্ছে শ্রমমন্ত্রক। ওই কর্মীর পূর্বতন
সংস্থা যে পিএফ অফিসের অধীন, এখন থেকে শুধুমাত্র সেখানেই সংস্থা পরিবর্তনের
বিষয়ে জানাতে হবে। তাহলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন প্রতিষ্ঠান যে প্রভিডেন্ট
ফান্ড কার্যালয়ের অন্তর্গত, সেখানে যুক্ত হয়ে যাবে ওই কর্মচারীর ইপিএফ
অ্যাকাউন্ট। এতদিন দু’টো জায়গাতেই প্রয়োজনীয় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে
হতো সংশ্লিষ্ট সদস্যদের। সেইমতো পদক্ষেপ করতে হতো কর্তৃপক্ষকে। গ্রাহক
এবং মালিকপক্ষ—- উভয়ের কথা ভেবেই এহেন বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে
শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)।
শুক্রবার
এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। জারি করা হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিও। যে পিএফ কার্যালয় থেকে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হবে, তাকে
‘সোর্স অফিস’ হিসেবে অভিহিত করেছে মন্ত্রক। অন্যদিকে, যে পিএফ কার্যালয়ে
ইপিএফ অ্যাকাউন্ট যুক্ত হবে, তাকে বলা হয়েছে ‘ডেস্টিনেশন অফিস’।
শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পুরনো নিয়মে এহেন পরিস্থিতিতে
‘সোর্স’ এবং ‘ডেস্টিনেশন’ দু’টো কার্যালয়েই জানাতে হতো সংশ্লিষ্ট ইপিএফ
গ্রাহককে। এবার থেকে সেই ঝক্কি আর পোহাতে হবে না। একইভাবে ‘ডেস্টিনেশন’
পিএফ অফিসের উপর থেকেও চাপ একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
কর্মী পিএফের
‘ফর্ম ১৩’এর নিয়মে প্রয়োজনীয় সংশোধন ঘটিয়েই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এর ফলে ১ কোটি ২৫
লক্ষেরও বেশি ইপিএফ গ্রাহক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি ইপিএফের ট্রান্সফার ক্লেম
প্রক্রিয়ার কাজেও অনেক বেশি গতি আসবে। একইসঙ্গে এদিন শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে,
প্রতিষ্ঠান ‘বাল্ক’ ইউএএন (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) কার্যকর করতে
চাইলে এবার থেকে শর্ত সপেক্ষে আধার সংযোগ ছাড়াই তা করতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন